undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

অতঃপর যালিম-সম্প্রদায়ের মূলোচ্ছেদ করা হল এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই; যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক। [১]

[১] এতে আল্লাহ-ভোলা জাতিদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলছেন যে, কখনো কখনো আমি সাময়িকভাবে এ ধরনের জাতির জন্য পার্থিব সুখ-সমৃদ্ধির যাবতীয় দরজা খুলে দিই। তারপর তারা যখন তাতে একেবারে নিমগ্ন হয়ে পড়ে এবং নিজেদের আর্থিক উন্নতির জন্য চরম অহংকার প্রদর্শন করতে আরম্ভ করে, তখন হঠাৎ আমি তাদেরকে পাকড়াও করে বসি এবং তাদের মূল শিকড় পর্যন্ত কেটে ছাড়ি। হাদীসেও এসেছে যে, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, "যখন তোমরা দেখবে যে, মহান আল্লাহ অবাধ্যতা সত্ত্বেও কাউকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী পার্থিব সুখ দিচ্ছেন, তখন জানবে এটা তার জন্য ঢিল দেওয়া হচ্ছে।" অতঃপর তিনি এই আয়াতটাই পাঠ করলেন। (আহমাদ ৪/১৪৫) কুরআনের এই আয়াত এবং নবী করীম (সাঃ)-এর হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, পার্থিব উন্নতি এবং সচ্ছলতা এ কথা প্রমাণ করে না যে, যে ব্যক্তিই অথবা যে জাতিই তা লাভ করে, সে আল্লাহর প্রিয় হয় এবং মহান আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন; যেমন, অনেকে তা মনে করে। বরং অনেকে তো

{أَنَّ الْأَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِيَ الصَّالِحُونَ} (الأنبياء: ১০৫) আয়াতের ভিত্তিতে তাদেরকে 'আল্লাহর নেক বান্দা' পর্যন্ত গণ্য করে! পক্ষান্তরে এ রকম মনে করা এবং এমন কথা বলা ভুল। যেহেতু ভ্রষ্ট জাতির বা ব্যক্তিবর্গের পার্থিব সচ্ছলতা পরীক্ষা এবং অবকাশ বা ঢিল দেওয়ার ভিত্তিতে। এটা তাদের কুফরী এবং অবাধ্যতার প্রতিদান নয়।

Maximize your Quran.com experience!
Start your tour now:

0%