وكذالك فتنا بعضهم ببعض ليقولوا اهاولاء من الله عليهم من بيننا اليس الله باعلم بالشاكرين ٥٣
وَكَذَٰلِكَ فَتَنَّا بَعْضَهُم بِبَعْضٍۢ لِّيَقُولُوٓا۟ أَهَـٰٓؤُلَآءِ مَنَّ ٱللَّهُ عَلَيْهِم مِّنۢ بَيْنِنَآ ۗ أَلَيْسَ ٱللَّهُ بِأَعْلَمَ بِٱلشَّـٰكِرِينَ ٥٣
وَكَذٰلِكَ
فَتَنَّا
بَعْضَهُمْ
بِبَعْضٍ
لِّیَقُوْلُوْۤا
اَهٰۤؤُلَآءِ
مَنَّ
اللّٰهُ
عَلَیْهِمْ
مِّنْ
بَیْنِنَا ؕ
اَلَیْسَ
اللّٰهُ
بِاَعْلَمَ
بِالشّٰكِرِیْنَ
۟
3

এভাবে তাদের এক দলকে অন্য দল দ্বারা পরীক্ষা করেছি, যেন তারা বলে যে, ‘আমাদের মধ্যে কি তাদের উপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন?’[১] আল্লাহ কি কৃতজ্ঞগণ সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত নন? [২]

[১] ইসলামের সূচনায় বেশীরভাগ গরীব এবং ক্রীতদাস শ্রেণীর লোকেরাই মুসলমান হয়েছিল। এই জন্য এই জিনিসটাই কাফের নেতাদের পরীক্ষার কারণ হয়ে দাঁড়ালো এবং তারা এই গরীবদেরকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপও করত এবং যাদের উপর এদের কর্তৃত্ব চলত, তাদের উপর যুলুম-নির্যাতনের রোলার চালাত ও বলত যে, 'এরাই কি সেই লোক, যাদের উপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন?' উদ্দেশ্য তাদের এই ছিল যে, ঈমান ও ইসলাম যদি বাস্তবিকই আল্লাহর অনুগ্রহ হত, তবে তা সর্বপ্রথম আমাদের উপর হত। যেভাবে তিনি অন্যত্র বলেন, {لَوْ كَانَ خَيْرًا مَا سَبَقُونَا إِلَيْهِ} "যদি এটা উত্তম জিনিস হত, তাহলে (তা গ্রহণ করার ব্যাপারে) এরা আমাদেরকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারত না।" (সূরা আহকাফ ৪৬:১১) অর্থাৎ, এই দুর্বলদের পূর্বে আমরাই মুসলমান হয়ে যেতাম।[২] অর্থাৎ, মহান আল্লাহ বাহ্যিক চাকচিক্য, মান-মর্যাদা এবং নেতাসুলভ ভাব-ভঙ্গিমার প্রতি লক্ষ্য করেন না। তিনি তো অন্তরের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য করেন এবং এই দিক দিয়ে তিনি জানেন যে, কে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা এবং সত্যকে চিনেছে কে? তাই তিনি যার মধ্যে কৃতজ্ঞতার গুণ দেখেছেন, তাকে ঈমানের সৌভাগ্য দানে ধন্য করেছেন। যেমন, হাদীসে এসেছে যে, "মহান আল্লাহ তোমাদের আকার-আকৃতি এবং তোমাদের মালধনের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও তোমাদের আমলসমূহকে দেখেন।" (মুসলিম, বির্র্ অধ্যায়)