You are reading a tafsir for the group of verses 20:133 to 20:135
وقالوا لولا ياتينا باية من ربه اولم تاتهم بينة ما في الصحف الاولى ١٣٣ ولو انا اهلكناهم بعذاب من قبله لقالوا ربنا لولا ارسلت الينا رسولا فنتبع اياتك من قبل ان نذل ونخزى ١٣٤ قل كل متربص فتربصوا فستعلمون من اصحاب الصراط السوي ومن اهتدى ١٣٥
وَقَالُوا۟ لَوْلَا يَأْتِينَا بِـَٔايَةٍۢ مِّن رَّبِّهِۦٓ ۚ أَوَلَمْ تَأْتِهِم بَيِّنَةُ مَا فِى ٱلصُّحُفِ ٱلْأُولَىٰ ١٣٣ وَلَوْ أَنَّآ أَهْلَكْنَـٰهُم بِعَذَابٍۢ مِّن قَبْلِهِۦ لَقَالُوا۟ رَبَّنَا لَوْلَآ أَرْسَلْتَ إِلَيْنَا رَسُولًۭا فَنَتَّبِعَ ءَايَـٰتِكَ مِن قَبْلِ أَن نَّذِلَّ وَنَخْزَىٰ ١٣٤ قُلْ كُلٌّۭ مُّتَرَبِّصٌۭ فَتَرَبَّصُوا۟ ۖ فَسَتَعْلَمُونَ مَنْ أَصْحَـٰبُ ٱلصِّرَٰطِ ٱلسَّوِىِّ وَمَنِ ٱهْتَدَىٰ ١٣٥
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

১৩৩-১৩৫ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা কাফিরদের সম্পর্কে খবর দিচ্ছেন যে, তারা বলতোঃ এই নবী (সঃ) তার সত্যবাদিতার প্রমাণ স্বরূপ কোন মু'জিযা দেখাচ্ছেন না কেন? তাদেরকে উত্তরে বলা হচ্ছেঃ এটা হচ্ছে ঐ কুরআন যা পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহের খবর অনুযায়ী আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী উম্মীর (সঃ) উপর অবতীর্ণ করেছেন, যিনি লেখা পড়া জানেন না। দেখো, এতে পূর্ববর্তী লোকদের অবস্থা লিপিবদ্ধ রয়েছে এবং ঠিক ঐ সব কিতাব মুতাবেকই রয়েছে যেগুলি ইতিপূর্বে আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে অবতীর্ণ হয়েছিল। কুরআন কারীম এ সবগুলোর রক্ষক। পূর্ববর্তী কিতাব গুলি হ্রাস বৃদ্ধি হতে পবিত্র নয় বলে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে, যেন এটা ওগুলির শুদ্ধ ও অশুদ্ধকে পৃথক করে দেখিয়ে দেয় সূরায়ে আকাবৃতে কাফিরদের এই প্রতিবাদের জবাবে বলা হছেঃ (আরবী) অর্থাৎ তুমি বলঃ নিদর্শন আল্লাহর ইচ্ছাধীন, আমি তো একজন প্রকাশ্য সতর্ককারী মাত্র। এটা কি তাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, আমি তোমার নিকট কুরআন অবতীর্ণ করেছি যা তাদের নিকট পাঠ করা হয়? এতে অবশ্যই মু'মিন সম্প্রদায়ের জন্যে অনুগ্রহ ও উপদেশ রয়েছে।” (২৯:৫০-৫১)রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “প্রত্যেক নবীকে (আঃ) এমন মু'জিযা দেয়া। হয় যে, তা দেখে মানুষ তাঁর নুবওয়াতের উপর ঈমান আনয়ন করে। কিন্তু আমাকে (মু'জিযারূপে) ওয়াহীর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা এই কিতাব অর্থাৎ কুরআন দান করেছেন। আমি আশা করি যে, কিয়ামতের দিন সমস্ত নবীর (আঃ) অনুসারী অপেক্ষা আমার অনুসারীদের সংখ্যা বেশী হবে।” (এ হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে)এটা স্মরণীয় বিষয় যে, এখানে রাসূলুল্লাহর (সঃ) সবচেয়ে বড় মুজিযা’র বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। এর অর্থ এটা নয় যে, এ ছাড়া তাঁর অন্য কোন মুজিযা ছিলই না। এই পবিত্র কুরআন ছাড়াও তার মাধ্যমে বহু মু'জিযা প্রকাশ পেয়েছে যা গণনা করা যাবে না। কিন্তু ঐ অসংখ্য মুজিযার উপর সবেচেয়ে বড় মু'জিযা হলো এই কুরআন কারীম।মহান আল্লাহ বলেনঃ যদি আমি এই সম্মানিত ও মর্যাদা সম্পন্ন শেষ নবীকে (সঃ) প্রেরণ করার পূর্বেই এই কাফিরদেরকে শাস্তি দ্বারা ধ্বংস করে দিতাম তবে তারা ওজর পেশ করে বলতোঃ যদি আমাদের কাছে কোন নবী আসতেন এবং আল্লাহ তাআলার কোন ওয়াহী অবতীর্ণ হতো তবে অবশ্যই আমরা তাঁর উপর ঈমান আনয়ন করতাম এবং তার অনুসরণ করতাম। আর তাহলে এই লাঞ্ছনা ও অপমান থেকে বাঁচতে পারতাম।” এ জন্যে আমি তাদের ঐ ওজরও কেটে দিলাম। তাদের কাছে রাসূল (সঃ) পাঠালাম এবং কিতাবও অবতীর্ণ করলাম। কিন্তু তথাপি ঈমান আনয়নের সৌভাগ্য তারা লাভ করলো না। আমি খুব ভালই জানি যে, একটি কেন, হাজার হাজার নিদর্শন দেখলেও তারা ঈমান আনবেন না! হাঁ,তবে যখন শাস্তি স্বচক্ষে দেখবে তখন ঈমান আনবে। কিন্তু তখন ঈমান আনা বৃথা। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি এই পবিত্র ও কল্যাণময় কিতাব অবতীর্ণ করেছি, সুতরাং তোমরা এর অনুসরণ কর ও ভয় কর, তাহলে তোমাদের উপর করুণা বর্ষণ করা হবে।" (৬:১৫৫) তিনি আরো বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ তারা আল্লাহর নামে শপথ করে বলে যে, যদি তাদের কাছে। কোন নিদর্শন আসে তবে তারা অবশ্যই ওর উপর ঈমান আনয়ন করবে।” (৬:১০৯) এরপর আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবীকে (সঃ) বলেনঃ হে মুহাম্মদ (সঃ) ! যারা তোমাকে মিথ্যা প্রতিপাদন করছে, তোমার বিরুদ্ধাচরণ করছে এবং তাদের কুফরী ও হঠকারিতার উপর স্থির থাকছে তাদেরকে বলে দাওঃ প্রত্যেকেই প্রতীক্ষা করছে, সুতরাং তোমরাও প্রতীক্ষা কর, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কারা রয়েছে সরল পথে এবং কারা সৎপথ অবলম্বন করেছে।এটা আল্লাহ তাআলার নিম্নের উক্তির মতইঃ (আরবী) অর্থাৎ “যখন তারা শাস্তি অবলোকন করবে তখন কারা পথভ্রষ্ট তা তারা সত্বরই জানতে পারবে।” (২৫:৪২) মহান আল্লাহ আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আগামী কল্য তারা জানবে, কে মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক।”(৫৪:২৬)