۞ واذكروا الله في ايام معدودات فمن تعجل في يومين فلا اثم عليه ومن تاخر فلا اثم عليه لمن اتقى واتقوا الله واعلموا انكم اليه تحشرون ٢٠٣
۞ وَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ فِىٓ أَيَّامٍۢ مَّعْدُودَٰتٍۢ ۚ فَمَن تَعَجَّلَ فِى يَوْمَيْنِ فَلَآ إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَن تَأَخَّرَ فَلَآ إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ لِمَنِ ٱتَّقَىٰ ۗ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُمْ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ ٢٠٣
وَاذْكُرُوا
اللّٰهَ
فِیْۤ
اَیَّامٍ
مَّعْدُوْدٰتٍ ؕ
فَمَنْ
تَعَجَّلَ
فِیْ
یَوْمَیْنِ
فَلَاۤ
اِثْمَ
عَلَیْهِ ۚ
وَمَنْ
تَاَخَّرَ
فَلَاۤ
اِثْمَ
عَلَیْهِ ۙ
لِمَنِ
اتَّقٰی ؕ
وَاتَّقُوا
اللّٰهَ
وَاعْلَمُوْۤا
اَنَّكُمْ
اِلَیْهِ
تُحْشَرُوْنَ
۟

তোমরা নির্দিষ্ট সংখ্যক দিনগুলিতে (যিলহজ্জ মাসের ১১,১২ ও ১৩ তারীখ --এই তিন দিন মীনায় অবস্থান কালে) আল্লাহকে স্মরণ কর,[১] আর যদি কেউ তাড়াতাড়ি করে দুই দিনেই চলে আসে, তবে তাতে তার কোন পাপ নেই। আর যদি কেউ বিলম্ব করে, তবে তারও কোন পাপ নেই।[২] এ (নিয়ম) তার জন্য যে ধর্মভীরু। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, তোমাদেরকে তাঁর কাছে সমবেত করা হবে।

[১] নির্দিষ্ট সংখ্যক দিন বলে তাশরীকের দিনগুলোকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, যুল-হজ্জের ১১, ১২ এবং ১৩ তারীখ। এই দিনগুলোতে আল্লাহর যিকর, অর্থাৎ, উচ্চৈঃস্বরে তকবীর পড়া সুন্নত। কেবল যে ফরয নামাযের পরই পড়া হবে তা নয়; বরং সব সময় এই তাকবীর 'আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, অল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, অলিল্লাহিল হামদ' পড়া বাঞ্ছনীয়। কাঁকর মারার সময় প্রত্যেক কাঁকরের সাথে তাকবীর পড়া সুন্নত। (নায়লুল আওত্বার ৫/৮৬)

[২] রম্ই জিমার (জামরাতে কাঁকর মারা) তিন দিন উত্তম। কিন্তু কেউ যদি কেবল দু'দিন (১১ ও ১২ই যুলহজ্জ) কাঁকর মেরে মিনা থেকে প্রত্যাগমন করে, তবে তারও অনুমতি আছে।