فاطر السماوات والارض جعل لكم من انفسكم ازواجا ومن الانعام ازواجا يذروكم فيه ليس كمثله شيء وهو السميع البصير ١١
فَاطِرُ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ۚ جَعَلَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَٰجًۭا وَمِنَ ٱلْأَنْعَـٰمِ أَزْوَٰجًۭا ۖ يَذْرَؤُكُمْ فِيهِ ۚ لَيْسَ كَمِثْلِهِۦ شَىْءٌۭ ۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْبَصِيرُ ١١
فَاطِرُ
السَّمٰوٰتِ
وَالْاَرْضِ ؕ
جَعَلَ
لَكُمْ
مِّنْ
اَنْفُسِكُمْ
اَزْوَاجًا
وَّمِنَ
الْاَنْعَامِ
اَزْوَاجًا ۚ
یَذْرَؤُكُمْ
فِیْهِ ؕ
لَیْسَ
كَمِثْلِهٖ
شَیْءٌ ۚ
وَهُوَ
السَّمِیْعُ
الْبَصِیْرُ
۟

তিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, তিনি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন[১] এবং পশুদের মধ্য হতে সৃষ্টি করেছেন পশুদের জোড়া;[২] এভাবে তিনি ওতে তোমাদের বংশ বিস্তার করেন।[৩] কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়।[৪] তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা ।

[১] অর্থাৎ, এটা তাঁর অনুগ্রহ যে, তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের জোড়া বানিয়ে দিয়েছেন। কারণ, তোমাদের স্ত্রীদেরকে যদি মানুষের মধ্য থেকে না বানিয়ে অন্য কোন সৃষ্টি থেকে বানানো হত, তবে তোমরা এই প্রশান্তি লাভ করতে পারতে না, যা নিজেদের মধ্য থেকে এবং নিজেদের মতনই হওয়ার কারণে পারছ।[২] অর্থাৎ, এই জোড়া (নর-নারী) বানানোর ধারা চতুষ্পদ জীব-জন্তুর মধ্যেও রেখেছি। আর চতুষ্পদ জন্তু বলতে সেই আট প্রকার নর ও মাদী জন্তু; যার উল্লেখ সূরা আনআমে করা হয়েছে।[৩] يَذْرَؤُكُمْ এর অর্থ, বিস্তার করা অথবা সৃষ্টি করা। অর্থাৎ, তিনি অধিকহারে তোমাদেরকে বিস্তার করছেন। অথবা বংশ পরম্পরায় সৃষ্টি করছেন। মানববংশ এবং চতুষ্পদ জীব-জন্তুর বংশকেও। فِيْهِ অর্থাৎ, فِي ذَلِكَ الْخَلْقِ عَلىَ هَذِه الصِّفَةِ সৃষ্টি করার এই পদ্ধতিতে তোমাদেরকে তিনি প্রথম থেকেই সৃষ্টি করে আসছেন। অথবা فِيْهِ এর অর্থ, গর্ভাশয়ে কিংবা পেটে। বা فِيْهِ এখানে بِهِ অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ, তোমাদেরকে জোড়া জোড়া বানানোর মাধ্যমেই তোমাদেরকে সৃষ্টি করছেন অথবা বিস্তার করছেন। কারণ, এই জোড়াই হল বংশ বৃদ্ধির একমাত্র উপায়। (ফাতহুল ক্বাদীর ও ইবনে কাসীর)[৪] না তাঁর সত্তায় এবং না তাঁর গুণাবলীতে। তাঁর সদৃশ তিনিই। তিনি অতুল, অনুপম, একক ও অমুখাপেক্ষী।