ولا يامركم ان تتخذوا الملايكة والنبيين اربابا ايامركم بالكفر بعد اذ انتم مسلمون ٨٠
وَلَا يَأْمُرَكُمْ أَن تَتَّخِذُوا۟ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةَ وَٱلنَّبِيِّـۧنَ أَرْبَابًا ۗ أَيَأْمُرُكُم بِٱلْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنتُم مُّسْلِمُونَ ٨٠
وَلَا
یَاْمُرَكُمْ
اَنْ
تَتَّخِذُوا
الْمَلٰٓىِٕكَةَ
وَالنَّبِیّٖنَ
اَرْبَابًا ؕ
اَیَاْمُرُكُمْ
بِالْكُفْرِ
بَعْدَ
اِذْ
اَنْتُمْ
مُّسْلِمُوْنَ
۟۠

আর তোমাদেরকে এও নির্দেশ দেবে না যে, ‘ফিরিশতাগণ ও নবীগণকে প্রতিপালকরূপে গ্রহণ কর।’ তোমাদের ইসলাম গ্রহণ করার পর সে কি তোমাদেরকে কুফরী করার আদেশ দেবে? [১]

[১] অর্থাৎ, নবী, ফিরিশতা অথবা অন্য কাউকে আল্লাহর গুণাবলীর অধিকারী বিশ্বাস করানো কুফরী। তোমাদের ইসলাম গ্রহণ করার পর একজন নবী এ কাজ কি করে করতে পারে? কারণ, একজন নবীর কাজ তো ঈমানের প্রতি আহবান করা। আর ঈমান হল সেই শরীকবিহীন এক আল্লাহর ইবাদত করার নাম। কোন কোন মুফাসসির এই আয়াতের শানে নুযুল (পটভূমিকা) সম্পর্কে বলেছেন যে, কিছু মুসলিম নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট তাঁকে সিজদা করার অনুমতি চাইলে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। (ফাতহুল ক্বাদীর) আবার কেউ কেউ এর শানে নুযুল সম্পর্কে বলেছেন, ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানরা একত্রিত হয়ে নবী করীম (সাঃ)-কে বলল, 'তুমি কি চাও যে, আমরা তোমার ঐভাবেই ইবাদত করি, যেভাবে খ্রিষ্টানরা ঈসার করে থাকে?' তখন তিনি বললেন, 'আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো ইবাদত করা থেকে অথবা কাউকে এর নির্দেশ দেওয়া থেকে আমি তাঁর আশ্রয় কামনা করছি। মহান আল্লাহ না আমাকে এর জন্য পাঠিছেন, আর না এর নির্দেশ দিয়েছেন।' এই কথারই পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত নাযিল হয়। (ইবনে কাসীর-সীরাতে ইবনে হিশাম)