وَالّٰتِیْ
یَاْتِیْنَ
الْفَاحِشَةَ
مِنْ
نِّسَآىِٕكُمْ
فَاسْتَشْهِدُوْا
عَلَیْهِنَّ
اَرْبَعَةً
مِّنْكُمْ ۚ
فَاِنْ
شَهِدُوْا
فَاَمْسِكُوْهُنَّ
فِی
الْبُیُوْتِ
حَتّٰی
یَتَوَفّٰهُنَّ
الْمَوْتُ
اَوْ
یَجْعَلَ
اللّٰهُ
لَهُنَّ
سَبِیْلًا
۟

তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচার করে, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য হতে চার জন (পুরুষ) সাক্ষী উপস্থিত কর। সুতরাং যদি তারা সাক্ষ্য দেয়, তাহলে তাদেরকে গৃহবন্দী করে রাখ, যে পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয়[১] অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন ব্যবস্থা করেন। [২]

[১] এটা হল ব্যভিচারী নারীর এমন শাস্তি যা ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়ে যখন ব্যভিচারের কোন শাস্তি নির্দিষ্ট ছিল না, তখন সাময়িকভাবে এই শাস্তি কার্যকরী ছিল। এখানে একটি কথা স্মরণে রাখা দরকার যে, আরবী ভাষায় এক থেকে দশ পর্যন্ত গণনায় একটি শিরোধার্য (ব্যাকরণের) নীতি হল, عدد বা সংখ্যা যদি পুংলিঙ্গ হয়, তাহলে তার معدود বা গণিত বিষয়ক শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ হবে। আর যদি সংখ্যা স্ত্রীলিঙ্গ হয়, তাহলে গণিত বিষয়ক শব্দ পুংলিঙ্গ হবে। এখানে (আয়াতে) أَرْبَعَةٌ (অর্থাৎ, চার সংখ্যা) স্ত্রীলিঙ্গ সুতরাং তার গণিত বিষয়ক শব্দ যা এখানে উল্লিখিত হয়নি, ঊহ্য আছে, অবশ্যই তা পুংলিঙ্গ হবে। ফলে অর্থ দাঁড়াবে চারজন পুরুষ। আর এ থেকে এ কথা পরিষ্কারভাবে জানা যায় যে, ব্যভিচারের প্রমাণের জন্য চারজন পুরুষ সাক্ষী অত্যাবশ্যক। অর্থাৎ, যেমন ব্যভিচারের শাস্তি অতি কঠিন, তেমনি তার প্রমাণের জন্য চারজন সাক্ষী হওয়ার কড়া শর্ত লাগানো হয়েছে। চারজন মুসলিম পুরুষকে স্বচক্ষে (ব্যভিচার সম্পাদন) দেখতে হবে। তাছাড়া তার শরীয়ত-নির্ধারিত শাস্তি কার্যকর করা সম্ভব হবে না।

[২] এখানে পথ বা ব্যবস্থা বলতে ব্যভিচারের শাস্তি বুঝানো হয়েছে যা পরে নির্দিষ্ট হয়েছে। অর্থাৎ, বিবাহিত ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীর জন্য হল 'রজম' (পাথরের আঘাতে হত্যা) এবং অবিবাহিত ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীর শাস্তি হল, একশ' বেত্রাঘাত। (এর বিস্তারিত আলোচনা সূরা নূরে এবং বহু সহীহ হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে।)