انني انا الله لا الاه الا انا فاعبدني واقم الصلاة لذكري ١٤
إِنَّنِىٓ أَنَا ٱللَّهُ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّآ أَنَا۠ فَٱعْبُدْنِى وَأَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَ لِذِكْرِىٓ ١٤
اِنَّنِیْۤ
اَنَا
اللّٰهُ
لَاۤ
اِلٰهَ
اِلَّاۤ
اَنَا
فَاعْبُدْنِیْ ۙ
وَاَقِمِ
الصَّلٰوةَ
لِذِكْرِیْ
۟

নিশ্চয় আমিই আল্লাহ, আমি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই; অতএব আমারই উপাসনা কর[১] এবং আমাকে স্মরণের জন্য নামায কায়েম কর।[২]

[১] এটি শরীয়তের ভারসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম ও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভার, যে ব্যাপারে প্রত্যেক ব্যক্তি ভারপ্রাপ্ত। এ ছাড়া তিনিই যখন একমাত্র উপাস্য হওয়ার যোগ্য, তখন তিনিই সমস্ত ইবাদতের একমাত্র অধিকারী।

[২] ব্যাপকভাবে ইবাদতের নির্দেশ দেওয়ার পর বিশেষভাবে নামায পড়তে আদেশ করা হয়েছে; যদিও ইবাদতের মধ্যে নামাযও শামিল। যাতে তার যে বিশেষ গুরুত্ব আছে তা প্রকাশ পায়। لِذِكرِي এর একটি অর্থ হল যে, তুমি আমাকে স্মরণ কর। কারণ আমাকে স্মরণ করার মাধ্যম হল ইবাদত। আর ইবাদতের মধ্যে নামায এক বিশেষ গুরুতত্ত্বপূর্ণ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী। দ্বিতীয় অর্থ হল, যখনই তোমার আমাকে স্মরণ হবে, তখনই তুমি নামায পড়। অর্থাৎ যদি কোন সময় ঔদাস্য, ভুল বা ঘুমের প্রভাবে আমাকে স্মরণ করতে না পার, তাহলে উক্ত অবস্থা পার হয়ে আমাকে স্মরণ হতেই তুমি নামায পড়। যেমন নবী (সাঃ) বলেছেন, "নিদ্রা অবস্থায় কোন শৈথিল্য নেই। শৈথিল্য তো জাগ্রত অবস্থায় হয়। সুতরাং যখন তোমাদের মধ্যে কেউ কোন নামায পড়তে ভুলে যায় অথবা ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তার উচিত, স্মরণ হওয়া মাত্র তা পড়ে নেওয়া। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, "আর আমাকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে তুমি নামায কায়েম কর।" (মুসলিম, মিশকাত ৬০৪নং)