ইয়াহুদীরা বলে, ‘খ্রিষ্টানদের কোন (ধর্মীয়) ভিত্তি নেই’ [১] এবং খ্রিষ্টানরা বলে, ‘ইয়াহুদীদের কোন (ধর্মীয়) ভিত্তি নেই’; অথচ তারা কিতাব (ঐশীগ্রন্থ) পাঠ করে। এভাবে যারা অজ্ঞ তারাও অনুরূপ কথা বলে থাকে। [২] সুতরাং যে বিষয়ে তাদের মতভেদ আছে, শেষ বিচারের দিন আল্লাহ তার মীমাংসা করবেন।
[১] ইয়াহুদীরা তাওরাত পড়ত। তাতে মুসা (আঃ)-এর জবানি ঈসা (আঃ)-এর সত্যায়ন বিদ্যমান, তা সত্ত্বেও ইয়াহুদীরা ঈসা (আঃ)-কে অস্বীকার করত। খ্রিষ্টানদের কাছে ইঞ্জীল বিদ্যমান, তাতে মূসা (আঃ) এবং তাওরাত যে আল্লাহর পক্ষ হতে আগত, সে কথার সত্যায়ন রয়েছে, তা সত্ত্বেও এরা ইয়াহুদীদেরকে কাফের মনে করে। অর্থাৎ, এখানে আহলে-কিতাবদের উভয় দলের কুফরী ও অবাধ্যতা এবং তাদের নিজের নিজের ব্যাপারে মিথ্যা আনন্দের মধ্যে মত্ত থাকার কথাই প্রকাশ করা হচ্ছে।
[২] আহলে-কিতাবদের মোকাবেলায় আরবের মুশরিকরা নিরক্ষর (অশিক্ষিত) ছিল। আর এই জন্যই তাদেরকে 'অজ্ঞ' বলা হয়েছে। কিন্তু তারাও মুশরিক হওয়া সত্ত্বেও ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদের মত এই মিথ্যা ধারণায় মত্ত ছিল যে, তারাই নাকি হকের উপর প্রতিষ্ঠিত। আর এই জন্য তারা নবী করীম (সাঃ)-কে স্বাবীঃ অর্থাৎ, বেদ্বীন বলত।