والذين يقولون ربنا اصرف عنا عذاب جهنم ان عذابها كان غراما ٦٥
وَٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا ٱصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا ٦٥
وَالَّذِیْنَ
یَقُوْلُوْنَ
رَبَّنَا
اصْرِفْ
عَنَّا
عَذَابَ
جَهَنَّمَ ۖۗ
اِنَّ
عَذَابَهَا
كَانَ
غَرَامًا
۟ۗۖ

এবং যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি নিবৃত্ত কর; জাহান্নামের শাস্তি তো নিশ্চিতভাবে ধ্বংসাত্মক; [১]

[১] এখান হতে বুঝা যাচ্ছে যে, রহমানের বান্দা ওরাই যারা একদিকে রাত্রে আল্লাহর ইবাদত করে, আবার অন্য দিকে ভয়ও করে যে, কোন ভুল বা আলস্যের কারণে আল্লাহ ধরে না বসেন। সেই জন্য তারা জাহান্নামের আযাব হতে আশ্রয় প্রার্থনা করে থাকে। অর্থাৎ, আল্লাহর ইবাদত তথা আজ্ঞা পালন করা সত্ত্বেও আল্লাহর আযাব ও তাঁর পাকড়াও হতে নির্ভয় হওয়া ও নিজ ইবাদতের উপর গর্ব করা উচিত নয়। এই অর্থ অন্য জায়গায় এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, {وَالَّذِينَ يُؤْتُونَ مَا آتَوا وَّقُلُوبُهُمْ وَجِلَةٌ أَنَّهُمْ إِلَى رَبِّهِمْ رَاجِعُونَ} অর্থাৎ, আর যারা তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে এই বিশ্বাসে তাদের যা দান করবার তা দান করে ভীত-কম্পিত হৃদয়ে। (সূরা মু'মিনূন ২৩:৬০ আয়াত) ভয় শুধু এই কারণে নয় যে, তাদেরকে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হতে হবে; বরং তাদের ভয় হয় যে, তাদের দান খয়রাত গ্রহণ হচ্ছে কি না? হাদীসে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় এসেছে, আয়েশা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে এই আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, 'এই আয়াতে কি ঐ সব লোকেদেরকে বুঝানো হয়েছে, যারা মদ পান ও চুরি করে?' তিনি বললেন, "না, হে আবূ বাকরের বেটী! বরং তারা ঐ সব লোক, যারা রোযা রাখে, নামায পড়ে, দান করে। তা সত্ত্বেও তারা ভয় করে যে, তাদের এইসব সৎকর্মগুলো যেন আল্লাহর দরবারে অগ্রহণীয় না হয়ে যায়।" (তিরমিযী, কিতাবুততাফসীর সূরাতুল মু'মিনূন)