وان امراة خافت من بعلها نشوزا او اعراضا فلا جناح عليهما ان يصلحا بينهما صلحا والصلح خير واحضرت الانفس الشح وان تحسنوا وتتقوا فان الله كان بما تعملون خبيرا ١٢٨
وَإِنِ ٱمْرَأَةٌ خَافَتْ مِنۢ بَعْلِهَا نُشُوزًا أَوْ إِعْرَاضًۭا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَآ أَن يُصْلِحَا بَيْنَهُمَا صُلْحًۭا ۚ وَٱلصُّلْحُ خَيْرٌۭ ۗ وَأُحْضِرَتِ ٱلْأَنفُسُ ٱلشُّحَّ ۚ وَإِن تُحْسِنُوا۟ وَتَتَّقُوا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًۭا ١٢٨
وَاِنِ
امْرَاَةٌ
خَافَتْ
مِنْ
بَعْلِهَا
نُشُوْزًا
اَوْ
اِعْرَاضًا
فَلَا
جُنَاحَ
عَلَیْهِمَاۤ
اَنْ
یُّصْلِحَا
بَیْنَهُمَا
صُلْحًا ؕ
وَالصُّلْحُ
خَیْرٌ ؕ
وَاُحْضِرَتِ
الْاَنْفُسُ
الشُّحَّ ؕ
وَاِنْ
تُحْسِنُوْا
وَتَتَّقُوْا
فَاِنَّ
اللّٰهَ
كَانَ
بِمَا
تَعْمَلُوْنَ
خَبِیْرًا
۟

যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীর দুর্ব্যবহার ও উপেক্ষার আশংকা করে, তাহলে তারা আপোস-নিষ্পত্তি করতে চাইলে তাদের কোন দোষ নেই।[১] বস্তুতঃ আপোস করা অতি উত্তম। কিন্তু মানুষের মন লালসার প্রতি আসক্ত।[২] আর যদি তোমরা সৎকর্মপরায়ণ ও সংযমশীল হও, তাহলে তোমরা যা কর, আল্লাহ তার সংবাদ রাখেন।

[১] স্বামী যদি কোন কারণে নিজের স্ত্রীকে পছন্দ না করে এবং তার থেকে দূরে থাকা ও তাকে উপেক্ষা করার রীতি অবলম্বন করে অথবা একাধিক স্ত্রী থাকা অবস্থায় যার শ্রী কম তাকে উপেক্ষা করে, এমতাবস্থায় স্ত্রী যদি তার প্রাপ্য অধিকার (মোহর অথবা ভরণ-পোষণ বা নিজের পালা থেকে) কিছু ত্যাগ করে স্বামীর সাথে মীমাংসা, সন্ধি ও আপোস করে নেয়, তাহলে তাতে স্বামী-স্ত্রীর কারোর কোন গুনাহ নেই। কেননা, (ত্বালাকের পথ গ্রহণ না করে) আপোস করাই উত্তম। সকল মু'মিনদের মাতা সাওদা (রাঃ) বার্ধক্যে পৌঁছে গেলে তিনি তাঁর পালা আয়েশা (রাঃ) কে দান করে দিয়েছিলেন এবং এটাকে রসূল (সাঃ) গ্রহণও করে নিয়েছিলেন।

(সহীহ বুখারী ও মুসলিম, বিবাহ অধ্যায়)

[২]) شُح কৃপণতা ও লোভ-লালসাকে বলে। এখানে এর অর্থ হল, নিজ নিজ স্বার্থ যা প্রত্যেকের কাছে প্রিয়। অর্থাৎ, প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ স্বার্থের খাতিরে কৃপণতা ও লোভ প্রকাশ করে থাকে।