অবিশ্বাসীরা বলে, ‘এ মিথ্যা ব্যতীত কিছুই নয়; সে নিজে তা উদ্ভাবন করেছে এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছে।’[১] ওরা অবশ্যই সীমালংঘন করে ও মিথ্যা বলে।
[১] মুশরিকরা বলত যে, মুহাম্মাদ এই গ্রন্থ রচনা করতে ইয়াহুদীদের বা ওদের কিছু (শিক্ষিত) দাস (যেমন আবূ ফকীহা ইয়াসির, আদ্দাস ও জাবর ইত্যাদি)র সাহায্য নিয়েছে। যেমন সূরা নাহল ১৬:১০৩ নং আয়াতে জরুরী আলোচনা করা হয়েছে। এখানে কুরআন এই অপবাদকে অন্যায় ও মিথ্যা বলে অভিহিত করছে। একজন নিরক্ষর মানুষ অন্যের সাহায্য নিয়ে কেমন করে এত সুন্দর একটি গ্রন্থ রচনা করতে পারে; যা উচ্চাঙ্গের সাহিত্য-সমৃদ্ধ, শব্দালংকার ও ভাব-দ্যোতনায় অতুলনীয়, তথ্য ও তত্ত্বজ্ঞান পরিবেশনে অদ্বিতীয়, মানব জীবনের আদর্শ নিয়ম-নীতির বিস্তারিত আলোচনায় অনুপম, অতীতকালের সংবাদ ও ভবিষ্যতে ঘটিতব্য ঘটনাবলীর সঠিক বর্ণনায় এর সত্যতা সর্বজন-স্বীকৃত।