কত প্রাচুর্যময় তিনি যিনি তাঁর দাসের প্রতি ফুরকান[১] (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন। যাতে সে বিশ্বজগতের জন্য সতর্ককারী হতে পারে। [২]
[১] ফুরকানের অর্থঃ হক ও বাতিল, তাওহীদ ও শিরক, ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্যকারী; যেহেতু কুরআন উক্ত পার্থক্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছে, সেহেতু তাকে 'ফুরকান' বলা হয়েছে।[২] এখান হতে বুঝা যায় যে, নবী (সাঃ)-এর নবুঅত বিশ্বব্যাপী ছিল এবং তিনি সকল মানব-দানবের জন্য পথ-প্রর্দশক হিসাবে প্রেরিত হয়েছিলেন। যেমন আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন, {قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي رَسُولُ اللّهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا} অর্থাৎ, বল, হে মানুষ! আমি তোমাদের সকলের জন্য সেই আল্লাহর (প্রেরিত) রসূল। (সূরা আ'রাফ ৭:১৫৮) মহানবী (সাঃ) বলেন, "আমাকে সাদা-কালো সকলের প্রতি নবী বানিয়ে পাঠানো হয়েছে।" (মুসলিমঃ মাসাজিদ অধ্যায়) " পূর্বে নবীকে বিশেষ একটি জাতির নিকট পাঠানো হত। আর আমাকে সকল মানুষের জন্য নবী হিসাবে পাঠানো হয়েছে।" (বুখারী, মুসলিম) রিসালাত ও নবুঅত এর পর তাওহীদ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এখানে আল্লাহর চারটি গুণের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।