وَلَقَدْ
اَرْسَلْنَا
رُسُلًا
مِّنْ
قَبْلِكَ
وَجَعَلْنَا
لَهُمْ
اَزْوَاجًا
وَّذُرِّیَّةً ؕ
وَمَا
كَانَ
لِرَسُوْلٍ
اَنْ
یَّاْتِیَ
بِاٰیَةٍ
اِلَّا
بِاِذْنِ
اللّٰهِ ؕ
لِكُلِّ
اَجَلٍ
كِتَابٌ
۟

তোমার পূর্বেও আমি অনেক রসূল প্রেরণ করেছিলাম এবং তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করেছিলাম।[১] আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন নিদর্শন উপস্থিত করা কোন রসূলের কাজ নয়;[২] প্রত্যেক নির্ধারিত কালের লিপিবদ্ধ গ্রন্থ আছে। [৩]

[১] অর্থাৎ, যত নবী ও রসূল এসেছেন সবাই মানুষই ছিলেন, তাঁদের নিজসব পরিবার, বংশ, স্ত্রী এবং সন্তান-সন্ততি ছিল। তাঁরা না ফিরিশতা ছিলেন আর না মানব রূপে নূরের সৃষ্টি ছিলেন। বরং তারা মানবকুল থেকেই ছিলেন। কেননা যদি তাঁরা ফিরিশতা হতেন তাহলে মানুষের জন্য তাঁদের প্রকৃতির সাথে স্বাভাবিক হওয়া এবং তাঁদের কাছাকাছি হওয়া অসম্ভব ছিল, যার ফলে তাঁদেরকে প্রেরণ করার মুখ্য উদ্দেশ্যই বিফল হয়ে যেত। আর যদি উক্ত ফিরিশতাগণ মানব রূপে আসতেন তাহলে দুনিয়াতে না তাদের পরিবার ও বংশ হতো আর না স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি হতো। এ থেকে জানা গেল যে, সকল নবীগণ মানবকুল থেকেই ছিলেন, মানবরূপে ফিরিশতা অথবা কোন নূরের সৃষ্টি ছিলেন না। উল্লিখিত আয়াতে أزْوَاجًا (স্ত্রী দান করেছিলাম) থেকে বৈরাগ্য বা সন্ন্যাস্বাদ খন্ডন হয়। আর ذُرِّيَّةٌ (সন্তান-সন্ততি দান করেছিলাম) থেকে পরিবার পরিকল্পনার কথা খন্ডন হয়, কেননা ذُرِّيَّةٌ (অর্থগত) বহুবচন শব্দ; যা কমপক্ষে তিন হবে।

[২] অর্থাৎ মু'জিযা (অলৌকিক ঘটনা) প্রদর্শন রসূলদের এখতিয়ারে নেই যে, যখন তাদের কাছে তলব করা হবে, তখনই তা প্রকাশ করে দেখিয়ে দেবেন, বরং এটা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর এখতিয়ারে, তিনি স্বীয় হিকমত ও ইচ্ছা অনুসারে ফায়সালা করেন যে, মু'জিযার প্রয়োজন আছে না নেই। আর যদি আছে, তাহলে কি রকম এবং কখন তা দেখাবার প্রয়োজন আছে।

[৩] অর্থাৎ আল্লাহ যা কিছুরই ওয়াদা করেছেন, তার একটি সময় নির্ধারিত আছে, উক্ত নির্ধারিত সময়ে তা অবশ্যই ঘটবে, কেননা আল্লাহর ওয়াদা ভঙ্গ হয় না। কেউ কেউ বলেছেন যে বাক্যে আগে-পিছে রয়েছে, মূল বাক্য এরূপ لِكُلِّ كِتَابٍ أجَلٌ অর্থাৎ প্রত্যেক সেই বিষয় যা আল্লাহ লিখে রেখেছেন, তার একটা সময় নির্ধারিত আছে। অর্থাৎ বিষয়টি কাফেরদের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার উপর নয়; বরং কেবল মাত্র আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।

আপনার Quran.com অভিজ্ঞতা সর্বাধিক করুন!
এখনই আপনার সফর শুরু করুন:

%