undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

বল, ‘আল্লাহ ব্যতীত আমরা কি এমন কিছুকে ডাকব, যা আমাদের কোন উপকার কিংবা অপকার করতে পারে না? আল্লাহ আমাদেরকে সৎপথ প্রদর্শনের পর আমরা কি সেই ব্যক্তির ন্যায় পূর্বাবস্থায় ফিরে যাব, যাকে শয়তান পৃথিবীতে পথ ভুলিয়ে হয়রান করেছে? যদিও তার সহচরগণ তাকে আহবান করে বলে, সঠিক পথের দিকে আমাদের নিকট এস।’[১] বল, ‘আল্লাহর পথই পথ[২] এবং আমরা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ করতে আদিষ্ট হয়েছি।

[১] এখানে এমন লোকদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন, যারা ঈমান আনার পর কুফরীর দিকে এবং তাওহীদের পর শিরকের দিকে ফিরে যায়। এদের দৃষ্টান্ত ঠিক এই রকম যে, এক ব্যক্তি তার সেই সাথীদের সাথছাড়া হয়ে যায়, যারা সোজা ও সঠিক পথে যাচ্ছিল। আর সঙ্গচ্যুত হয়ে এই ব্যক্তি বনে-জঙ্গলে চঞ্চল ও অস্থির অবস্থায় ঘুরে বেড়ায়। এদিকে তার সাথীরা তাকে ডাকে, কিন্তু চাঞ্চল্যের কারণে সে কিছুই শুনতে পায় না। অথবা শয়তান জ্বিনদের কুহকে পড়ার কারণে সঠিক পথের দিকে ফিরে আসা তার পক্ষে সম্ভব হয় না।

[২] অর্থাৎ, কুফরী ও শিরক অবলম্বন করে যে ভ্রষ্ট হয়ে গেছে, সে পথহারা পথিকের মত হিদায়াতের দিকে আসতে পারে না। তবে হ্যাঁ, আল্লাহ তাআলা যদি তার জন্য হিদায়াত নির্ধারণ করে থাকেন, তবে অবশ্যই আল্লাহর তাওফীকে সে সঠিক পথ পেয়ে যাবে। কেননা, হিদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত করা তাঁরই কাজ। যেমন, অন্যত্র বহু স্থানে বলা হয়েছে।{فَإِنَّ اللهَ لا يَهْدِي مَنْ يُضِلُّ وَمَا لَهُمْ مِنْ نَاصِرِينَ} "অবশ্যই আল্লাহ তাকে হিদায়াত দেন না, যাকে তিনি ভ্রষ্ট করেন এবং তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী হবে না।" (সূরা নাহল ১৬:৩৭) তবে এই হিদায়াত দান ও ভ্রষ্ট করা সেই নিয়ম-নীতি অনুযায়ী হয়, যা মহান আল্লাহ এর জন্য নির্দিষ্ট করেছেন। এমন নয় যে, কোন বিচার-বিবেচনা ছাড়াই তিনি যাকে চান ভ্রষ্ট করে দেন এবং যাকে চান হিদায়াত দান করেন। আর এর বিশ্লেষণ বহু স্থানে করা হয়েছে।

Maximize your Quran.com experience!
Start your tour now:

0%