undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

যখন তাদের বলা হয়, ‘অপরাপর লোকদের মত তোমারাও বিশ্বাস কর’, তারা বলে, ‘নির্বোধেরা যেরূপ বিশ্বাস করেছে আমরাও কি সেরূপ বিশ্বাস করব?’(১) সাবধান! এরাই নির্বোধ, কিন্তু এরা জানে না। (২)

(১) ঐ মুনাফিক্বরা সেই সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)-দেরকে অজ্ঞ-মুর্খ বা নির্বোধ বলেছে, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় জান ও মাল কুরবানী করতে কোন দ্বিধা করেননি। আর বর্তমানের মুনাফিক্বরা বুঝাতে চায় যে, সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) ঈমান-ধন থেকেই বঞ্চিত ছিলেন -নাউযু বিল্লাহি মিন যালিক। মহান আল্লাহ অতীত ও বর্তমান উভয় কালের মুনাফিক্বদের কথা খন্ডন ক'রে বলেন, উচ্চতর অভীষ্ট লাভের জন্য পার্থিব স্বার্থসমূহ কুরবানী দেওয়া অজ্ঞতা নয়, বরং তা-ই প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা ও সৌভাগ্যের কাজ। সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)গণ তো এই সৌভাগ্যেরই প্রমাণ প্রস্তুত করেছেন। আর এই জন্যেই তাঁরা কেবল পাক্কা মু'মিনই নন, বরং তাঁরা হলেন (অপরের) ঈমান নির্ণায়ক মাপকাঠি ও কষ্টিপাথর। এখন তো ঈমান তারই গণ্য হবে, যে তাঁদের মত ঈমান আনবে। "তোমরা যেরূপ বিশ্বাস করেছ তারা যদি সেরূপ বিশ্বাস করে, তাহলে নিশ্চয় তারা সুপথ পাবে।" (সূরা বাক্বারা ২:১৩৭)(২) পরিষ্কার কথা যে, সত্বর (নগদ) অর্জিত হয় এমন লাভের জন্য যা দেরীতে বা পরে অর্জিত হবে এমন লাভের প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করা, আখেরাতের স্থায়ী ও চিরন্তন জীবনের তুলনায় দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী ও ধ্বংসশীল জীবনকে প্রাধান্য দেওয়া এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে মানুষকে ভয় করা হল অত্যধিক নির্বুদ্ধিতা। আর এই নির্বুদ্ধিতার পরিচয় মুনাফিক্বরা দিয়ে এক বাস্তব সত্য থেকে অজ্ঞই রয়ে গেছে।

Maximize your Quran.com experience!
Start your tour now:

0%