۞ قالت الاعراب امنا قل لم تومنوا ولاكن قولوا اسلمنا ولما يدخل الايمان في قلوبكم وان تطيعوا الله ورسوله لا يلتكم من اعمالكم شييا ان الله غفور رحيم ١٤
۞ قَالَتِ ٱلْأَعْرَابُ ءَامَنَّا ۖ قُل لَّمْ تُؤْمِنُوا۟ وَلَـٰكِن قُولُوٓا۟ أَسْلَمْنَا وَلَمَّا يَدْخُلِ ٱلْإِيمَـٰنُ فِى قُلُوبِكُمْ ۖ وَإِن تُطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ لَا يَلِتْكُم مِّنْ أَعْمَـٰلِكُمْ شَيْـًٔا ۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌۭ رَّحِيمٌ ١٤
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
۳

মরুবাসী (বেদুঈন)গণ বলে, ‘আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি।’ তুমি বল, ‘তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করনি, বরং তোমরা বল, আমরা আত্মসমর্পণ করেছি; কারণ বিশ্বাস এখনো তোমাদের অন্তরে প্রবেশই করেনি।[১] যদি তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর, তবে তোমাদের কর্মফল সামান্য পরিমাণও লাঘব করা হবে না। আর নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’

[১] কোন কোন মুফাসসিরের মতে এই বেদুঈন লোকগুলো হল, বানু আসাদ এবং খুযায়মা গোত্রের মুনাফিকরা। যারা দুর্ভিক্ষের সময় কেবল সাদাকা লাভের উদ্দেশ্যে অথবা হত্যা ও বন্দী হওয়া থেকে বাঁচার জন্য মৌখিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করার কথা ব্যক্ত করেছিল। কিন্তু তাদের অন্তর ঈমান, বিশুদ্ধ আকীদা এবং আন্তরিকতা থেকে খালি ছিল। (ফাতহুল ক্বাদীর) তবে ইমাম ইবনে কাসীরের নিকট এ থেকে এমন বেদুঈন লোকদেরকে বুঝানো হয়েছে, যারা নতুন নতুন মুসলমান হয়েছিল এবং ঈমান এখনো পর্যন্ত তাদের অন্তরে দৃঢ়ভাবে স্থান পায়নি। অথচ তারা দাবী করেছিল ততটা ঈমান থেকেও বেশী, যতটা তাদের হৃদয়ে ছিল না। যার ফলে তাদেরকে এ আদব শিখানো হল যে, প্রথমেই ঈমানের দাবী করা ঠিক নয়। ধীরে ধীরে উন্নতি লাভের পরই তোমরা ঈমানের বাঞ্ছিত স্তরে পৌঁছতে পারবে।